chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

বিনা মাশুলে ট্রানজিট দেবে ভারত

ডেস্ক নিউজঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও জোরদার করার জন্য প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশ তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বিনা মাশুলে ভারতে ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধার প্রস্তাব পেয়েছে। নির্ধারিত স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশ এ সুবিধা নিতে পারে।

 

শীর্ষ বৈঠকের পর বুধবার ( ৭ সেপ্টেম্বর ) যৌথ বিবৃতিতে দুই দেশের সম্পর্কের বিভিন্ন দিকের পাশাপাশি চলমান সহযোগিতা, অমীমাংসিত বিষয়, ভবিষ্যৎ সহযোগিতা ও নতুন প্রস্তাবের বিষয়গুলো উঠে এসেছে। দুই পক্ষের অনুরোধ ও প্রত্যাশার বিষয়গুলোও এসেছে। পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান এবং আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রসঙ্গও এসেছে।

 

ট্রানজিট/ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা

যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত তার ভূখণ্ডের মাধ্যমে বিশেষত স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৃতীয় দেশে পণ্য রপ্তানির জন্য বিনা মাশুলে ট্রানজিট-সুবিধা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে। এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে তৃতীয় দেশে ট্রান্সশিপমেন্টের জন্য বন্দর অবকাঠামো ব্যবহারে বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

নেপাল ও ভুটানে পণ্য রপ্তানির জন্য ভারত বাংলাদেশকে বিনা মূল্যে ট্রানজিট দিচ্ছে উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সদ্য উদ্বোধন হওয়া চিলাহাটি-হলদিবাড়ি রুটের মাধ্যমে ভুটানের সঙ্গে রেল যোগাযোগের অনুরোধ করেছে এবং ভারত এর কার্যকারিতা ও সম্ভাব্যতার ভিত্তিতে বিষয়টি বিবেচনা করতে রাজি হয়েছে। এ ছাড়া আন্তসীমান্ত রেলসংযোগগুলো কার্যকর করার জন্য ভারত বাংলাদেশকে চিলাহাটি-হলদিবাড়ি ক্রসিংয়ে বন্দর বিধিনিষেধ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেছে।

এ বিষয়ে সাবেক পররাষ্ট্রসচিব ও দিল্লি ইউনিভার্সিটির বঙ্গবন্ধু চেয়ার মো. শহীদুল হক গত রাতে বলেন, ভারতের এই প্রস্তাব কার্যকর হলে বাংলাদেশের জন্য বৃহত্তর অর্থনৈতিক অঞ্চলে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি হবে।

 

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও জ্বালানি সরবরাহ

ভারত থেকে চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুনের মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। ভারত নিজেদের জোগানের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ইতিবাচকভাবে বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে। এ লক্ষ্যে ভারত সব রকম প্রয়াস চালাবে। জ্বালানি সরবরাহের বিষয়ে দুই দেশের নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের মধ্যে আলোচনা করার বিষয়ে একমত হয়েছে ভারত। এ ক্ষেত্রে সরকারিভাবে পরিশোধিত জ্বালানি সরবরাহের জন্য ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশনকে অনুমোদন দেওয়ার বাংলাদেশি সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে ভারত।

 

এই বিভাগের আরও খবর