সিএমপি ও বিদ্যানন্দের “এক টাকায় কেনার আনন্দ”
চট্টগ্রামে বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সাহযোগীতায় সুবিধাবঞ্চিত ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য শুরু হয়েছে “এক টাকায় কেনার আনন্দ” নামে একটি ব্যতিক্রমী সুপারশপ।
বৃহস্পতিবার (৮সেপ্টেম্বর) বাকলিয়ায় একটি কনভেনশন সেন্টারে এই সুপারশপের উদ্বোধন করেন সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়। এসময় তিনি গাড়ির মধ্যে সাজানো ভ্রাম্যমাণ একটি বিপনী বিতানও উদ্বোধন করেন। এক টাকায় যে গাড়ি থেকে বাজার করা যাবে । বিভিন্ন এলাকায় পন্য নিয়ে ঘুরে বেড়িয়ে এক টাকায় পণ্য ক্রয় করার কাস্টমারের খুঁজে। এই বাজার থেকে প্রায় ১৫০০ মানুষ বাজার করেছেন ১ টাকার বিনিময়ে। ছিলো বাছাই করে শপিং করার স্বাধীনতা।
সিএমপি কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায় বলেন “বিদ্যানন্দ সবসময় ব্যতিক্রমী কাজ করে। বিদ্যানন্দের যারা নেপথ্যকর্মী তারা সবসময় মানুষের কল্যানে নিজেদের উৎসর্গ করে। তিনি আরো বলেন “করোনার সময়ে বিদ্যানন্দের সাথে চট্রগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের(সিএমপি) পার্টনারশিপ হয়। এই পার্টনারশিপ ভবিষ্যতেও অটুট থাকবে, বিদ্যানন্দের সাথে কাজ করতে পেরে আমরা গর্বিত।”
অনুষ্ঠানে বিদ্যানন্দের আয়োজকেরা বলেন “করোনার আঘাত যেতে না যেতেই যুদ্ধ শুরু হয়েছে। দ্রব্যমূল্য এখন সাধারন মানুষের নাগালের বাইরে।যার কারনে সারাবিশ্বে এখন নিম্ন আয়ের মানুষজন কষ্টে আছে। চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসময় উচিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো। চ্যারিটি শুধু উৎসব ও দুর্যোগ নির্ভর হওয়া উচিত নয়। মানুষের দুর্দশার সময় যদি পাশে থাকতে না পারি তাহলে কী লাভ চ্যারিটি করে? তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ১০হাজার অতি দরিদ্র পরিবারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য উপহার দিব। তারই অংশ হিসেবে আজ এই এক টাকায় বাজার। এখানে বাজার করতে যারা আসছে তাদের বাছাই করার স্বাধীনতা থাকছে। যা ভোক্তার আত্মসম্মান নিশ্চিত করে। আমরা মনে করি ত্রান কোন চাপিয়ে দেয়ার জিনিস না। নিজের পছন্দের পন্য বাছাই করার স্বাধীনতা প্রত্যেক ভোক্তার থাকা উচিত। পাশাপাশি একটি ভ্রাম্যমাণ বিপনী বিতান শহরের দরিদ্র পরিবারগুলোর দ্বারে দ্বারে গিয়ে তাদের দুর্দশার সঙ্গী হবে।”
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার(প্রশাসন ও অর্থ) এম এ মাসুদ, বিদ্যানন্দের বোর্ড মেম্বার নাফিজ চৌধুরী ও জামাল উদ্দিন, সিএমপির সিনিয়র অফিসারবৃন্দ, সংবাদকর্মী ও বিদ্যানন্দের স্বেচ্ছাসেবকবৃন্দ।