চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ নেতা রাজু হত্যায় মূলহোতা গ্রেফতার
মীরসরাইয়ে ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম রাজু হত্যার মূলহোতা মো. শাহীন হোসেনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ বুধবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) নুরুল আবছার।
এর আগে, মঙ্গলবার রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার অলংকার মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার শাহীন মীরসরাই উপজেলার জোরারগঞ্জ থানার মধ্যম সোনাপাহাড় এলাকার সুরুজ মিয়ার ছেলে। নিহত ইব্রাহিম রাজু জোরারগঞ্জ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
র্যাব জানায়, এরশাদ নামে একজনকে দুটি গরুর বাছুর বর্গা দিয়েছিলেন ইব্রাহিম রাজুর নিকটাত্মীয় জামাল উদ্দিন। গত ৯ জুলাই রাতে পাওনা টাকা নিয়ে এরশাদ ও শাহীনের মধ্যে ঝগড়া হয়। একপর্যায়ে দলবল নিয়ে বাছুর দুটি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন শাহীন। ওই সময় বাধা দিলে সঙ্গীদের নিয়ে গরুর মালিক জামাল উদ্দিন এবং তার দুই ছেলে আরাফাত ও তারেককে মারধর করেন তিনি।
বিষয়টি ইব্রাহিম রাজুকে জানান আরাফাত। পরে দুই বন্ধুকে নিয়ে সেখানে যান ইব্রাহিম রাজু। এরপর মারধরের কারণ জানতে চাইতেই রাম-দা দিয়ে ইব্রাহিম রাজুকে কোপাতে শুরু করেন শাহীন ও তার সঙ্গীরা। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন রাজু। এতেও ক্ষান্ত হননি তারা। হাতে থাকা দেশীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজুর শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ কেটে ফেলেন এবং রড দিয়ে বাম কাঁধ, হাত-পা ও হাঁটু ভেঙে দেন। একই সঙ্গে রাজুর ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি ভেঙে পালিয়ে যান।
পরে রাজুকে গুরুতর অবস্থায় স্থানীয় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ওই ঘটনায় ১১ জুলাই ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে জোরারগঞ্জ থানায় মামলা করেন রাজুর বাবা।
র্যাব কর্মকর্তা নুরুল আবছার বলেন, মামলার পর থেকে জড়িতদের ধরতে নজরদারি শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে পাহাড়তলী থানার অলংকার মোড় থেকে ঘটনার মূলহোতা মো. শাহীন হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা ও পরিকল্পনার কথা স্বীকার করেন শাহীন। পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নিতে তাকে জোরারগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।