চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক ওসি মো. কামরুজ্জামান ও পাঁচ উপ পরিদর্শকসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ করেছেন এক ভুক্তভোগী।
রোববার (৪ সেপ্টেম্বর) ছেনোয়ারা বেগম নামে ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহ এর আদালতে এই অভিযোগ করেন ।
অভিযুক্তরা হলেন- বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ মো. কামরুজ্জামান, উপ পরিদর্শক মেহের অসীম দাশ, এসআই সাইফুল ইসলাম, রবিউল হোসেন, কে এম নাজিবুল ইসলাম তানভীর, নুর নবী এবং পুলিশের সোর্স মো শাহজাহান প্রকাশ সোর্স আকাশ।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী জসীম উদ্দীন জানায়, পাঁচ উপ পরিদর্শক ও বায়েজিদ বোস্তামী থানার সাবেক অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. কামরুজ্জামান সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির অভিযোগ করেন ছেনোয়ারা বেগম নামে এক ভুক্তোভুগী। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারকে সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা কর্তৃক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্যে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
উল্লেখ্য সূত্রে জানা যায়, ১৬ জুন ২০২১ সালে হোটেল ছেনোয়ারায় যাওয়া জন্য সাইফুল ইসলাম সাইফ পিতার ক্রয় করা মোটরসাইকেল নিয়ে বের হয়। এসময় পুলিশের সোর্স আকাশ অক্সিজেন মোড়ে হোটেল জামানে দেখা করার অনুরোধ করেন। আকাশের অনুরোধে রাত সোয়া দশটার দিকে অক্সিজেন মোড়ে যায় সাইফুল। কিন্তু বায়েজিদ থানা পুলিশ সাইফুলকে অপহরণ করে প্রাইভেট কারে করে বায়েজিদ লিংক রোডে নিয়ে যায়। এসময় ৫ লাখ টাকা না দিলে সাইফুলকে ক্রস ফায়ার দেওয়া হবে বলে জানায় তার মাকে। পরবর্তীতে সাইফুলের বাম পায়ের হাটুর ওপরে গুলি করে অপহরণকারীরা। তারাই আবার মূমূর্ষ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) ভর্তি করান। জাতীয় পঙ্গু হাসপাতালে অপারেশনের পরে সাইফুলের পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা।