chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মিয়ানমারে ১৫ মাসে ১৫০০ সেনা নিহত

ডেস্ক নিউজঃ ২০২১ সালে দেশটিতে সেনা অভ্যুত্থানের জেরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই বছরের মে থেকে এ অঞ্চলে সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র প্রতিরোধ শুরু হওয়ার পর থেকে প্রায় প্রতিদিনই গোলাগুলি, বিমান ও কামান হামলার খবর পাওয়া গেছে।

অঞ্চলটিতে মিয়ানমারের স্থানীয় রাজনৈতিক দল কারেন্নি ন্যাশনাল প্রগ্রেসিভ পার্টির সশস্ত্র শাখা ন্যাশনালিটিজ ডিফেন্স ফোর্স (কেএনডিএফ), কারেন আর্মিসহ (কেএ) আরও কয়েকটি সশস্ত্র প্রতিরোধ গোষ্ঠী সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি দেশটির সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে প্রতিবেশী দক্ষিণাঞ্চলীয় শান প্রদেশের স্থানীয় বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী।

প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলো দাবি করছে, কায়াহ রাজ্যের বেসামরিক নাগরিক এবং প্রতিরোধ গোষ্ঠীগুলোকে টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার।

মানবাধিকার লঙ্ঘনের নথিপত্র সংগ্রহকারী প্রগ্রেসিভ কারেন পিপলস ফোর্স (পিকেপিএফ) বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) বলেছে, গত ৩১ আগস্ট পর্যন্ত কায়াহতে ১ হাজার ৪৯৯ সেনা এবং ১৫১ প্রতিরোধ যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। একই সময়ে ওই প্রদেশে অন্তত ৪৫৪টি আগুনের ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া দেশটির এই সামরিক বাহিনী একই সময়ে আরও ২৬১ জনকে গ্রেফতার করেছে।

এ ছাড়া বিগত এক বছরেরও বেশি সময়ে ওই অঞ্চলে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের ও বেসামরিক লক্ষ্যে ১৫৮ বার বিমান হামলা চালিয়েছে। শাসকগোষ্ঠীর বিমান ও কামান হামলা এবং অগ্নিসংযোগে ১ হাজার ১৮০টি বাড়ি পুড়ে গেছে এবং ২৫টির মতো ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।

গেল বছর ফেব্রুয়ারিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে অং সান সু চি-র নেতৃত্বাধীন নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে মিয়ানমারের ক্ষমতায় আসে দেশটির সামরিক বাহিনী। সামরিক সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে দেশজুড়ে আন্দোলন গড়ে তুলেছে দেশটির নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ। ক্ষমতা গ্রহণের পর সামরিক বাহিনীর হাতে নিহত হয়েছে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ।

এই বিভাগের আরও খবর