chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

নারায়ণগঞ্জে সমাবেশ করার বিএনপির অনুমতি ছিল না : তথ্যমন্ত্রী

দেশব্যাপী গণ্ডগোলের পরিকল্পনা নিয়েই বিএনপি মাঠে নেমেছে, বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নারায়ণগঞ্জের ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি এ কথা বলেন। 

মন্ত্রী বলেন, বিএনপি সারা দেশে গণ্ডগোল করার পরিকল্পনা করেই নানা কর্মসূচি সাজিয়েছে। সে কারণে তারা সারা দেশে পুলিশ, পথচারী, মানুষের সম্পত্তির ওপর হামলা চালিয়েছে।

অর্থাৎ দেশে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করার জন্য তারা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যে কাজগুলো করেছিল সেটির নতুন সংস্করণ শুরু করেছে।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জ পুলিশের সাথে আলাপ করেছি। সেখানে পুলিশ বা জেলা প্রশাসন কিংবা সিটি করপোরেশনের অনুমতি ছাড়াই বিএনপি রাস্তা বন্ধ করে সমাবেশ করেছিল। রাস্তা বন্ধ না করে তাদের দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করার জন্য পুলিশ তাদের অনুরোধ জানায়। সেটি না শুনে তারা রাস্তা বন্ধ করে দেয় এবং ইটপাটকেল ও পাশের রেললাইনের পাথর পুলিশের ওপর নিক্ষেপ করে হামলা পরিচালনা করে, সেখানে থাকা পুলিশ বক্স ভাঙচুর করে। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে এবং লাঠিচার্জ করেছে। সেখানে যিনি মারা গেছেন তিনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এবং ওই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ভাতিজা। তার পূর্ণ পরিচয় তদন্তাধীন। ’

 

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা জানেন বিএনপি মানুষ মারার রাজনীতি করে। ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপি কী করেছে? মানুষ মারার রাজনীতি করেছে, মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি করেছে। পৃথিবীর অনেক জায়গায় নানা ধরনের গণ্ডগোল, জাতিগত সংঘাত, সহিংসতা হচ্ছে বা হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য একটি রাজনৈতিক দল সাধারণ মানুষের ওপর পেট্রোলবোমা নিক্ষেপ করে পুড়িয়ে মারার ঘটনা গত তিন-চার দশকে পৃথিবীর কোথাও ঘটেনি, যেটি বিএনপি বাংলাদেশে করেছে। তারা এ ধরনের গণ্ডগোল করে সারা দেশে আরো লাশ ফেলতে চায়। ’

 

‘পরিকল্পিতভাবে এই ঘটনা ঘটানোর কথা যেটি বিএনপি বলেছে সেটি বিএনপির বেলায় প্রযোজ্য, তারা পরিকল্পিতভাবে দেশে অস্থিরতা তৈরি করার অপচেষ্টা হিসেবে এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে’, বলেন ড. হাছান।

এর আগে জ্বালানি তেলের মূল্য নিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের আগে যা দাম ছিল এখন তার চেয়ে বেড়েছে। এ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী জনগণের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন ধরনের তেলের দাম প্রতি লিটারে পাঁচ টাকা কমিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে বাস ভাড়াও কিছুটা কমেছে। কিন্তু এ নিয়েও গতকাল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী সমালোচনা করেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দাম বাড়ালেও দোষ, কমালেও দোষ! তাহলে কী করলে উনারা প্রশংসা করতে পারবেন আমি জানি না। সরকার জনগণের কথা চিন্তা করে দাম কিছুটা কমিয়েছে, এতেও আবার বিএনপি সমালোচনা করছে। আসলে সব কিছুতেই সমালোচনা করার যে বাতিক, সেখান থেকে এই সমালোচনা। ’

ইহ/চখ