ফটিকছড়িতে র্যাবের জালে সহযোগীসহ ১ প্রতারক আটক
চট্টগ্রামে ফটিকছড়ি এলাকায় বিভিন্ন সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উচ্চ পদবীর অফিসার পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়া প্রতারণার সাথে জড়িত এক প্রতারককে সহযোগীসহ আটক করেছে র্যাব-৭।
বুধবার (৩১ আগস্ট) দিবাগত রাত ১টার দিকে নাজিরহাট বাজার এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। আটককৃত প্রতারক হলেন- ফটিকছড়ির বক্তপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে বেলাল হোসেন(৩১)। প্রতারক বেলালের অন্যতম সহযোগী এবং কথিত দেহরক্ষী হলেন- ভূজপুর থানার পশ্চিম সুয়াবিল গ্রামের মৃত এজাহার মিয়ার ছেলে মো ওসমান (৫৩)।
র্যাব সূত্রে জানা যায়,কখনো এসআই বা থানার ওসি, কখনো সার্কেল এএসপি বা এসপি, কখনো বা র্যাবের অফিসার, আবার কখনও ইউএনও অথবা এমপির প্রতিনিধি পরিচয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে প্রতারক ভিকটিমের সরল বিশ্বাসের সুযোগ নিয়ে সর্বমোট টাকা হাতিয়ে নেয়। র্যাব-৭ অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পেলে অভিযান পরিচালনা করে প্রতারককে তার সহযোগীসহ আটক করে।
র্যাব-৭ এর অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এম এ ইউসুফ সকালে সিপিসি-৩ বহদ্দারহাটের চান্দগাঁও ক্যাম্পে প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, আটককৃত প্রতারককে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, সে নিজেকে কখনো এসআই বা থানার ওসি, কখনো সার্কেল এএসপি বা এসপি কখনো বা র্যাবের অফিসার ইত্যাদি পরিচয় দিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে খোরশেদ আলম নামে এক ব্যক্তির নিকট টাকা আদায় করেছে।
প্রতারক বেলালের বরাতে লেঃ কর্ণেল এম এ ইউসুফ বলেন, প্রতারণার মাধ্যমে ২০২১ সালের মে মাস থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের কাছে আইনশৃংখলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য হিসাবে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন কাজ করে দেওয়ার নাম করে নানা অজুহাতে বিভিন্ন লোকের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিত। এর আগে তার মুরগির ফার্ম ছিল। তার দেওয়া ভাষ্যমতে, গত দেড় বছরে প্রতারনাই ছিল তার একমাত্র আয়ের উৎস এবং পেশা এবং সে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের কাছ থেকে এরুপ প্রতারনা করে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্যে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
-চট্টলার খবর/ইফতেখার