chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

যৌতুকের দাবিতে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বাকে হত্যার বিচার দাবি

 চট্টলার ডেস্কঃ যৌতুকের দিতে না পারায় চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা নিশা আকতার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের ফাঁসির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরিবার ও এলাকাবাসী।  

শনিবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১১টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহত নিশা আকতারের মামাতো বোন সাবরিনা আকতার। তিনি বলেন, অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ নিশা আকতারের মৃত্যু আত্মহত্যা নয় বরং পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। স্বামী ইমরান শাহ ও তার পরিবার পরিকল্পিতভাবে নিশাকে হত্যা করে। নিজেদের বাঁচাতে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে তারা। হামিদচর গ্রামের লোকজন, পুলিশ, নিশার শ্বশুর বাড়ির কোনো প্রতিবেশী এবং নিশার পরিবারের কেউই তার মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেননি। মরদেহ থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ৪ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ফাঁসি খেয়ে আত্মহত্যা করলে তার প্রস্রাবের রাস্তা দিয়ে রক্তপাত হবে কেন? মরদেহ যে বিছানায় শুইয়ে রাখা হয়েছিল সেই বিছানার বেডশিটে রক্ত পাওয়া গেছে। রক্তযুক্ত বেডশিটটি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নিশা যে সিলিং ফ্যানে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে বলে তার শাশুড়ি অভিযোগ করেছে সেই ফ্যানটি বা ফ্যানের পাখা বাঁকা হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু দেখা গেছে, ফ্যানটি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। ফ্যানে ওড়না লাগানো থাকলেও ঐ ওড়নায় কোনো গিট ছিল না। পুলিশ আসার পূর্বে শাশুড়ি বলেছেন- নিশার কান থেকে স্বর্ণের কানের দুল খুলে ফেলতে। যেখানে একজন শাশুড়ির ছেলের বউয়ের মৃত্যুতে কাতর হওয়ার কথা, সেখানে তিনি লোভী হয়ে অপরাধ করার জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।

সাবরিনা বলেন, নিহত নিশার মাসহ এলাকাবাসী এই মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড হিসেবে বিবেচনা করে চান্দগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করার জন্য আবেদন করেন। কিন্তু চান্দগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আসামিপক্ষের কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা নিয়ে একে আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা হিসেবে গ্রহণ করেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় না পেলেও মামলার এজাহারে লিখেছে- লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় ছিল। পুলিশ যাওয়ার আগে ঘটনাস্থলে এলাকাবাসী উপস্থিত ছিল। তারাও মরদেহটি ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেনি। আমরা মামলাটি ৩০২ ধারায় বা হত্যা মামলায় রূপান্তরের দাবী জানাচ্ছি। তাছাড়া পুলিশ এখনো আমাদের সুরতহাল রিপোর্ট দেয়নি।

সাবরিনা অভিযোগ করে বলেন, আসামিপক্ষ ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী হওয়ায় ময়নাতদন্ত রিপোর্টে মিথ্যা তথ্য বের করার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও হত্যাকারীদের ফাঁসি চাই।

চখ/জূঈম

এই বিভাগের আরও খবর