১১ স্কুলছাত্রকে যৌন হয়রানি, শিক্ষকের ৪২ বছরের জেল!
ডেস্ক নিউজঃ অস্ট্রেলিয়ান কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় সিঙ্গাপুর পুলিশ একজন সহকারী শিক্ষককে গ্রেপ্তার করেছে। তার বিরুদ্ধে ১১ ছাত্রকে স্কুল-পরবর্তী পরিচর্যা কেন্দ্রে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। তিনি প্রায় সাত বছর ধরে তাদেরকে বিভিন্ন সময়ে যৌন নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
সোমবার (২২ আগস্ট) প্রসিকিউটররা জানান, এ ঘটনাটি আদালতের সামনে আসা ছোট শিশুদের যৌন নির্যাতনের সবচেয়ে খারাপ ঘটনাগুলোর মধ্যে একটি। অভিযুক্ত ৩০ বছর বয়সী লোকটিকে ৪২ বছরের জেল এবং ২৪টি বেত্রাঘাতের শাস্তি দেওয়া হয়েছে।
প্রসিকিউটররা তাকে ‘বিপজ্জনক পেডোফাইল’ (ছোট শিশুদের প্রতি যৌন আকর্ষণ) হিসেবে বর্ণনা করেছেন। লোকটিকে যৌন নিপীড়নের ছয়টি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছেন আদালত। চারজন তার বিরুদ্ধে জোর করে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ করেছে। তারা ৯ থেকে ১১ বছর বয়সের ছিল যখন তাদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে।
আরো ৫৪টি অভিযোগ আনা হয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে একটি গুরুতর ধর্ষণের জন্য। অন্যগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ২৩টি অনুপ্রবেশ করে যৌন নিপীড়নের জন্য এবং ২২টি নাবালককে যৌন হয়রানির জন্য। সাজা দেওয়ার সময় বিচারক তার এ সকল অপরাধ বিবেচনা করেছেন বলেও জানিয়েছেন প্রসিকিউটররা।
হাইকোর্টের বিচারক মাভিস চিওনহ তার রায়ে বলেছেন, ‘অভিযুক্ত ব্যক্তি উদ্বেগজনকভাবে স্কুল-পরবর্তী পরিচর্যা কেন্দ্রে তার অবস্থানের সুযোগ নিয়েছিলেন। তার চাকরি তাকে যৌন নির্যাতন চালানোর জন্য সম্ভাব্য শিকারদের একদম মাঝামাঝি ফেলে দেয়। সাত বছর তিনি এই নির্যাতন চালিয়ে যান। ’বিচারপতি চিওনহ আরো বলেন, ‘লোকটি তার তরুণ শিক্ষার্থীদের নিষ্পাপ এবং শিশুসুলভ সংবেদনশীলতার সুযোগ নিতেন। তিনি ছেলেদের প্রতি তার ভালোবাসা প্রকাশ করে, তাদের খাবার এবং মোবাইল ফোনে গেম খেলতে দিয়ে এবং ভিডিও গেম খেলতে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তাদের বিশ্বাস অর্জন করতেন। ’
তিনি আপাতদৃষ্টিতে নিরীহ শারীরিক যোগাযোগের সাথে শুরু করতেন, যেমন তাদের আলিঙ্গন করা, ছেলেদের ওপর যৌন ক্রিয়া সম্পাদন করার আগে এবং ছেলেদেরকে তার ওপর যৌন ক্রিয়া করতে বাধ্য করার আগে তিনি এটা করতেন। বেশ কয়েকবার তিনি দু-তিনজন ভিকটিমকে সঙ্গে করে শাওয়ার রুমে যেতেন। অনেক সময় তিনি ছেলেদের একে অপরের ওপর যৌনকর্ম করতে বাধ্যও করতেন।
তিনি এগুলোর ভিডিও রেকর্ড করতেন। তার ইলেকট্রনিক ডিভাইসে এ ধরনের ১০৫টি ক্লিপ পাওয়া গেছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর তাকে পেডোফিলিক ডিস-অর্ডার ধরা পড়ে এবং তাকে পুনরায় অপরাধ করার মাঝারি থেকে উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে মূল্যায়ন করা হয়।
ইহ/চখ