chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

মশক নিধন: চসিকের ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করলেন মেয়র

মশকমুক্ত পরিস্কার পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নগরীর ৪১ টি ওয়ার্ডেই ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) মেয়র মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন।

বুধবার (১৪ মে) নগরীর চাঁন্দগাও বি ব্লক মসজিদের সামনে ওষুধ ছিটিয়ে ক্রাশ প্রোগ্রাম উদ্বোধন করা হয়।

এ সময় সিটি মেয়র বলেন, সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রথম পদক্ষেপটিই হচ্ছে পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা। চারপাশের যেসব জায়গায় এডিস মশা জন্মায়, সেসব জায়গায় যাতে এডিস মশা জম্মাতে না পারে, সে ব্যাপারে সকলকে সচেতন হতে হবে। আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। এই ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডের ঝোঁপঝাঁড় পরিস্কার ও নালায় যেখানে মশার জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে। ক্রাশ প্রোগ্রাম ছাড়াও চসিকের নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে প্রতিদিন মশক নিধন স্প্রে চলমান রয়েছে।

মেয়র আরো বলেন, আমাদের যে পরিমাণ মশা ধ্বংসকারী ওষুধ আছে এই ওষুধের সদব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডাল্টিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হবে।

ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, পরিস্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসায়, ফুলের টবে, ছাদে, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে তিনদিনের বেশী পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

মেয়র বলেন, বাসা-বাড়ী, ছাদ-আঙ্গিনায় নিজ নিজ উদ্যোগে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। চট্টগ্রাম নগরীকে একটি স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ, বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র। সমসাময়িক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, করোনা মহামারির এ সময় মশাবাহিত ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব ঘটতে পারে বলে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশ হচ্ছে। মশা থেকে মুক্তি পেতে সামাজিক সচেতনতাও জরুরি প্রয়োজন।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাস মাহামারীর কারণে সারা দেশে সবকিছু বন্ধ রয়েছে, থমকে আছে সকল প্রকার অর্থনৈতিক কর্মকান্ড। অর্থনীতির চাকা বন্ধ থাকায় প্রান্তিক মানুষের জীবনের স্রোতও যেন থমকে গেছে। জীবন অবশ্যই আগে। কারণ, জীবন না থাকলে জীবিকার কোন প্রশ্নই আসেনা। কিন্তু জীবিকা না থাকলে জীবন টিকবে কি করে? তার মানে, মহামূল্যবান জীবনকে রক্ষা করতেই জীবিকাই একমাত্র অক্সিজেন। উভয়ে উভয়ের পরিপূরক বলে মন্তব্য করেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর সুস্পষ্ট চিন্তা মহামারীর আঘাতে ক্ষুধায় যেন মানুষ না মরে। যতদিন যাবত এর টিকা আবিস্কার না হচ্ছে ততক্ষণ সতর্কতামূলক পদক্ষেপের মাধ্যমে সংক্রমন নিয়ন্ত্রনে রাখার কোন বিকল্প নেই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মো. সাইফুদ্দিন খালেদ সাইফু, চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।

এই বিভাগের আরও খবর