chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

চট্টগ্রামে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ

জুলকার নাঈন: চট্টগ্রামে টাইগারপাস থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত দৈনিক গড়ে ছোট-বড় মিলিয়ে অন্তত ১৮ হাজার যানবাহন চলাচল করে ব্যস্ততম এই সড়কটিতে। এই সড়কে ঝুঁকিপর্ণ অবস্থায় চলছে  ১৮ কিলোমিটার লম্বা এই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণকাজ।সেফটিনেটে,নিরাপত্তা বাউন্ডারি মতো অপরিহার্য সরঞ্জাম ব্যবহার করতে দেখা  যায়নি।

উন্মুক্ত সড়কে যানবাহনের উপর দিয়ে চলছে ক্রেন, এক্সেভেটরের মতো ভারী ভারী নির্মাণসামগ্রী।এতে ঢাকা উত্তরার মতো বড়ো দুর্ঘটনার শঙ্কায় সাধারণ মানুষ। তবে সিডিএর দাবি করছে, জানমালের নিরাপত্তা বিবেচনা করে,আধুনিক যন্ত্রাংশ ব্যবহার  নিশ্চিত করতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে।তবে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেলো তার উল্টো চিত্র।

অথচ এই সড়কের টাইগারপাস থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন  করছে সিডিএ।

ঢাকার পর চট্টগ্রামে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে চলছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ কাজ

বড় এই প্রকল্প বাস্তবায়নে যে পরিমান নিরাপত্তা ব্যবস্থা  ব্যবহার করার কথা, তার ছিটে ফোঁটাও নেই। দুই-এক স্থানে টিনের ব্যরিকেট থাকলেও বেশিরভাগ এলাকা অরক্ষিত।এতে ব্যস্ত সড়কে সাধারণ যানবাহনের সঙ্গেই ব্যবহার করা হচ্ছে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ক্রেন, এক্সেভেটরের মতো ভারী যন্ত্রাংশ।

এর আগে সোমবার ঢাকার উত্তরায় গার্ডার ধসে মৃত্যু হয়েছে একই পরিবারের ৫ জনের। ২০১২ সালেন ২৩ নভেম্বর বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ চলার সময় গার্ডার ধসে ১৩ জনের মৃত্যু হয়।

এক পথচারী বলেন,নির্মাণসামগ্রী ক্রেন, এক্সেভেটরের ব্যবহারের সময় দেয়াল থাকেনা ফলে ঘটতে পারে যে কোন দুর্ঘটনা।

এলাকার এক ব্যবসায়ি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা এখানে ব্যবসা করি যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা হলে এর দায়ভার কে নেবে।

অথচ সামান্য আন্তরিকতা থাকলেই  এড়ানো যেতো মর্মান্তিক এসব দুর্ঘটনা।তবে প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সিডিএ কর্মকর্তা জানিয়েছে, ঢাকার দুর্ঘটনার পর চট্টগ্রামের ঠিকাদারকে সতর্ক করা হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর