chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

ফ্লাইওভারের গার্ডার ধ্বস : বিচারকাজের দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ ১৩ নিহতের স্বজনরা

জুলকার নাঈন, প্রতিবেদকঃ ২০১২ সালের ২৪ নভেম্বর সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট ফ্লাইওভার নির্মাণকালে গার্ডার ভেঙ্গে ১৩ জন নিহত হয়। পৌণে ১০ বছর হতে চলছে এ ঘটনার বয়স। এখনও ঘুরপাক খাচ্ছে সাক্ষ্যগ্রহণে। বিচারকাজের এ দীর্ঘসূত্রতায় হতাশ নিহতদের স্বজনরা।

আদালত সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার ২ দিন পর চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মীর আখতার অ্যান্ড পারিসা ট্রেড ও পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের ২৫ জনকে আসামি করে মামলা করে পুলিশ। তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৪ অক্টোবর অভিযোগপত্র দেয়া হয় ৮ জনের বিরুদ্ধে। এ মামলায় মোট ২৭ স্বাক্ষীর মধ্যে এখন পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে ১৯ জনের। যা এখন বিচারাধীন চট্টগ্রামের ৪র্থ অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে।
রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলি বলছেন, স্বাক্ষীদের অধিকাংশ ভ্রাম্যমান আর চাকরিজনিত বদলির কারণে সবাইকে হাজির করা সম্ভব না হওয়ায় বিচারকাজ শেষ করা যায়নি।

এদিকে আলোচিত এ দুর্ঘটনার বিচার দীর্ঘদিনেও না হওয়ায় হতাশ নিহতদের স্বজনরা। তাদের ভাষ্য, স্বজনের মৃত্যুর বিচার আদৌ পাবেন কিনা রয়েছেন সংশয়। স্বজনহারা কেউ কেউ আবার তছনছ হয়ে যাওয়া সংসারের ঘানি টানতে টানতে বিচারের আশা ছেড়েই দিয়েছেন।

সিডিএ’র বহদ্দারহাট ফ্লাইওভারটি নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ১৩৬ কোটি টাকায় নির্মাণ করা হয়। সিডিএ ওই ফ্লাইওভার নির্মাণের জন্য মীর আক্তার ও পারিশা নামের যৌথ মালিকানাধীন একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়। এক দশমিক তিন কিলোমিটার দীর্ঘ ফ্লাইওভারটি নির্মাণের পূর্ব থেকে নগর পরিকল্পনাবিদসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে এর প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। কিন্তু সিডিএ তার অবস্থানে অনড় থেকে ফ্লাইওভার নির্মাণ কাজ শুরু করে। কিন্তু প্রথম থেকেই অভিযোগ ছিল এর ঠিকাদার নিয়োগ নিয়ে। বলা হয়েছিল, তারা ফ্লাইওভার নির্মাণের যোগ্যতা সম্পন্ন নয়। এর কিছু দিন পরেই নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারের তিনটি গার্ডার ভেঙ্গে ওই মারাত্মক দুর্ঘটনা ঘটে।

নগর পরিকল্পনাবিদ ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর অভিযোগ, এই দুর্ঘটনায় ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক হাবিবুর রহমান ও সহকারি প্রকৌশলী তানজিব হোসেন ও উপ-সহকারি প্রকৌশলী সালাউদ্দিন আহমদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছিল। কিন্তু উচ্চ আদালত থেকে রায় নিয়ে তারা আবার স্বপদে বহাল হয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর