সালমান রুশদির ওপর হামলা
ডেস্ক নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ লেখক সালমান রুশদির (৭৫) ঘাড়ে ও পেটে ছুরিকাঘাত করেছে এক হামলাকারী। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন এ লেখক। তিনি বর্তমানে ভেন্টিলেশনে রয়েছেন।
শুক্রবার (১২ আগস্ট) নিউইয়র্ক শহরের কাছে চৌতাকুয়া ইনস্টিটিউশনে বক্তৃতা দিতে মঞ্চে ওঠার সময় রুশদির ওপর এই হামলা ঘটে। সেখানে প্রায় আড়াই হাজার দর্শক ছিল। তাদের পরে সরিয়ে নেওয়া হয়।
রুশদির এজেন্ট অ্যান্ড্রু ওয়াইলি এক ইমেইলে জানিয়েছেন, একটি চোখ হারাতে পারেন লেখক। এছাড়া তার হাতের স্নায়ু এবং লিভারও গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলাকারীকে শনাক্ত করেছে নিউইয়র্ক স্টেট পুলিশ। তারা জানিয়েছে, হাদি মাতার নামে ২৪ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি নিউ জার্সির বাসিন্দা। তবে রুশদির ওপর হামলা করার কারণ এখনো নিশ্চিত নয়।
গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ও ছবিতে দেখা যায়, কিছু লোক মঞ্চে ছুটে গিয়ে সন্দেহভাজন হামলাকারীকে মাটিতে চেপে ধরেন। এর আগেই অবশ্য এক নিরাপত্তারক্ষী তাকে আটক করেছিলেন।
জরুরি সেবাকর্মীরা উপস্থিত হওয়ার আগপর্যন্ত রুশদির প্রাথমিক চিকিৎসা দেন দর্শকসারিতে উপস্থিত এক চিকিৎসক। পরে বিতর্কিত এই লেখককে হেলিকপ্টারে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলায় সামান্য আঘাত পেয়েছেন অনুষ্ঠানের সঞ্চালক হেনরি রিভসও।
১৯৮১ সালে নিজের দ্বিতীয় উপন্যাস ‘মিডনাইটস চিলড্রেন’ প্রকাশের পর আলোচনায় উঠে আসেন সালমান রুশদি। এর জন্য সম্মানজনক বুকার পুরস্কার জিতেছিলেন তিনি। তবে ১৯৮৮ সালে ‘দ্য সাটানিক ভার্সেস’ বইটির জন্য ব্যাপক বিতর্কের মুখে পড়েন রুশদি। বইটিতে ইসলাম ধর্মের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। বহু মুসলিমপ্রধান দেশে বইটি নিষিদ্ধ করা হয়।
ইরানের তৎকালীন শীর্ষনেতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খামেনি রুশদিকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করেন। এরপর কয়েক দশক আত্মগোপনে ছিলেন মুম্বাইয়ে জন্ম নেওয়া এই লেখক। ১৯৯১ সালে বিতর্কিত বইটির জাপানিজ ট্রান্সলেটর হিতোশি ইগারশি হত্যার শিকার হন। তবে ১৯৮৮ সালে ইরান সরকার সেই ‘ফতোয়া’ প্রত্যাহার করার পর থেকে ধীরে ধীরে জনসম্মুখে আসতে শুরু করেন সালমান রুশদি।
মআ/চখ