সাথীর অপলক চাহুনি হৃদয় পুড়ছে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আসা মানুষদের
নিজস্ব প্রতিবেদকঃকখনো-কখনো জীবন যে কতটা নির্মম তার জলজ্যান্ত উদাহরণ চার বছরের এই শিশুটি।মাত্র এক মাস বয়সে মাকে হারানোর সঙ্গে হারিয়েছে নিজের একটি পা। তখন থেকেই এক পায়ে হেটে ভিক্ষার থালা হাতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেইটে সময় কাটছে ছোট্ট শিশু সাথীর।
সৎ মায়ের কোলে সাথীর সময় কাটছে ভিক্ষার থালা হাতে।কিন্তু শিশুটির ভাগ্যে এমনটা হওয়ার কথা ছিলনা। সাথীর বয়স যখন এক মাস, তখনই ট্রেনের নিচে কাটা পড়ে মারা যায় তার গর্ভধারিণী মা। প্রাণে বেঁচলেও এক পা হারাতে হয় শিশু সাথীকে।দুর্ঘটনার পর তার বাবাও নিরুদ্দেশ। তাইতো ঠাঁই হয়েছে সৎ মায়ের কোলে।
সৎ মা নাজমা কথা বলতে গিয়ে চোখে পানি চলে আসা কষ্ট হয়তো অনুভব করতে পারে শিশুটি। তাই আলতু হাতে মুছে দিচ্ছেন মায়ের চোখর জল।সাথীর অপলক চাহুনি হৃদয় পুড়ছে মেডিকেলে আসা মানুষজনের।
সৎ মা নাজমা বলেন, নিজেও সৎ মায়ের ঘরে ছিলাম। আমার চারটা সন্তান আছে, আমি যদি ওকে পর ভাবি তাহলে কাল আমি মারা গেলে আমার সন্তানরা পথে পথে ঘুরবে।তাই আমি ওকে বুকে জড়িয়ে রাখছি।
বিত্তবানদের কেউ এগিয়ে আসলে হয়তো ভিক্ষার থালার বদলে শিশুটির সুযোগ হতো স্কুলে যাবার।
জুলকার নাঈম/চখ