chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

তেলে তেলেসমাতি কাঁচাবাজারে ক্রেতার নাভিশ্বাস

নিজস্ব প্রতিবেদকঃজ্বালানি তেলের দামবৃদ্ধির প্রভাব পড়েছে কাঁচাবাজারে। কয়েক দিনের ব্যবধানে বাজারে প্রতিটি পণ্যের দাম কেজিতে ৫ টাকা থেকে ২০ টাকা করে বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচ বেড়েছে। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাজারে।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির মধ্যে সবচেয়ে কম দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁপে। পাঁচ টাকা বেড়ে আজকের বাজারে এক কেজি পেঁপের দাম ৩০ টাকা। ৩৫ টাকা কেজির পটল ও ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। অর্থাৎ ১৫ টাকা বেড়েছে। ৪৫ টাকার শশা বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা কেজিতে।

৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া চিচিঙ্গা, ধুন্দল, কাঁকরোল ও কচুর মুখি আজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। একই দামে বিক্রি হচ্ছে রববটি। ৬০-৭০ টাকার উস্তা-করলা, বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়।

বাজারে  আসা  সবজি শিম ২০০ থেকে ২৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়াও টমেটো ১২০ টাকা ও প্রতিকেজি গাজরের দাম ১৪০ টাকা।

বাড়তি দামের ভিড়েও রয়েছে কাঁচা মরিচের বাড়তি ঝাজ। গত সাপ্তাহে ৩০০ টাকা মরিচ বিক্রয় হচ্ছে ৩১০ টাকা বেড়েছে।

অন্যদিকে লাউ ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ টাকা ও চাল কুমড়া ৪০ টাকা পিস হিসেবে এবং মিষ্টি কুমড়ার ফালি ৩০ টাকা, কাঁচা কলা ৩০ টাকা ও লেবু ১৫-২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

শাকের দামও ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। ১০ টাকা আটির লাল ও পালং শাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকায়। আর ১৫ টাকার লাউ শাক বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।

পাহাড়তলী ব্যবসায়ী কবির হোসেন চট্টলার খবরকে বলেন, ২০ টাকা কেজির ঢেঁড়স আজ কিনেছি ৩৫ টাকা করে। বিক্রি করছি ৫০ টাকায়। খরচ বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা বেশি।

মোঃ শাকিল নামের এক ক্রেতা বলেন,কাজির দৈউরি বাজারে করতে গিয়ে আমি অবাক। সবকিছুর দাম ৫ থেকে ১০ টাকা বেশি। দাম বেশি থাকায় এক পাল্লা-দুই পাল্লা করে মাল এনেছি। কারণ, দাম বেশি হলে বিক্রি কম হয়।

মরিয়ম নামে এক ক্রেতা চট্টলার খবরকে বলেন, সবজির দামে আগুন। সব কিছুর দাম বেড়েছে। ৫০০ টাকার সবজি কিনলাম ব্যাগেরও দরকার হলো না।

রেয়াজ উদ্দীন বাজারের ব্যবসায়ী শাহিনুল করিম বলেন, আমার এখানে বিভিন্ন যায়গা থেকে ট্রাকে সবজি আসে। ট্রাকে নতুন করে খরচ বেড়েছে ৩ হাজার ৬০ টাকা। পরিবহন খরচের কারণে পণ্যের দাম বেড়েছে।

এই দিকে বাজারে বেশিরভাগ ব্যবসায়ী ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২০০ টাকা। তবে কোনো কোনো ব্যবসায়ী ১৯০ টাকা কেজিও বিক্রি করছেন। গত সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগির কেজি ছিল ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকা।

ব্রয়লার মুরগির পাশাপাশি দাম বেড়েছে পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা।

গত সপ্তাহে এক ডজন লাল ডিম ১২৫ টাকায় বিক্রি করেছি। তেলের দাম বাড়ানোর পর গত কয়েকদিন হুটহাট ডিমের দাম বেড়েছে। এখন এক ডজন ডিম ১৪৫ টাকায় ঠেকেছে।

দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ইলিশও। এক কেজি ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৬০০ থেকে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকা। ৭০০-৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে এক হাজার টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। আর ৪০০-৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা।

 

চখ/জুইম

এই বিভাগের আরও খবর