chattolarkhabor
চট্টলার খবর - খবরের সাথে সারাক্ষণ

প্রজনন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে দেশের ৯৩ শতাংশ যুবসমাজ

চট্টলা ডেস্ক : বর্তমানে দেশে ১৫-২৯ বছর বয়সী সাড়ে চার কোটির বেশি তরুণ ও যুব জনগোষ্ঠী রয়েছে। এই জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এস‌ডি‌জি ও জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন সম্ভব।

অথচ দেশের বিশাল যুবসমাজের মধ্যে মাত্র সাত শতাংশ সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র থেকে সরাসরি সেবা গ্রহণ করে। দেশের ৯৩ শতাংশ যুবসমাজ প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার ও সেবা সম্পর্কে জানে না। তারা অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে।

ঝুঁকি এড়াতে সচেতনতা, সম্পৃক্তকরণ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রয়োজন বলে মত বিশেষজ্ঞদের। সঙ্গে সুস্থ, সবল ও কর্মক্ষম জাতি গঠনের কোনো বিকল্প নেই বলে অভিমত তাদের।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে বেসরকারি এনজিও লাইট হাউসের আয়োজনে ও ইউএসএআইডি সুখী জীবন প্রকল্প, পাথফাইন্ডার ইন্টারন্যাশনালের সহযোগিতায় মিডিয়া অ্যাডভোকেসি সভায় এসব অভিমত গণ্যমাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

লাইট হাউসের নির্বাহী প্রধান মো. হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরামের সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদারসহ লাইট হাউজের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এ ছাড়া সভায় বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভায় জানানো হয়, বর্তমানে দেশে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী সাড়ে চার কোটির বেশি তরুণ ও যুব জনগোষ্ঠী রয়েছে। এ জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে এসডিজি ও জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন সম্ভব।

ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, দেশের বিশাল এই যুবসমাজকে রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতিসহ সব বিষয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশেষ করে প্রযুক্তির জ্ঞান বেশি বেশি করে অর্জন করতে হবে তাদের। অন্যথায় উন্নয়নের চাকা থেমে পিছিয়ে পড়বে বাংলাদেশ।

সভায় জানানো হয়, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন করতে হলে সব বয়সী মানুষের সক্ষমতার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের পাশাপাশি সবার অধিকার, বিশেষত প্রজনন অধিকার, নিশ্চিত করতে হবে।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সামাজিক রীতিনীতি ও বিশ্বাস অনেক ক্ষেত্রেই তরুণ প্রজন্মের প্রজনন অধিকার ও স্বাস্থ্যসেবা বাধাগ্রস্ত করে। এ থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন আন্তঃপ্রজন্মের সংহতি ও সহযোগিতা।

শুক্রবার বিশ্ব যুব দিবস পালিত হবে। জাতিসংঘ কর্তৃক বিশ্ব যুব দিবস-২০২২ এর নির্ধারিত প্রতিপাদ্য ‘আন্তঃপ্রজন্ম সংহতি: সকল বয়সীদের জন্য ভালোবাসার পৃথিবী গড়ি’।

প্রতি বছরের এই দিনটিতে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালনের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছিল। দিনটি প্রথম পালিত হয় ২০০০ সালে।

চখ/আর এস

এই বিভাগের আরও খবর