চবি প্রতিনিধি:চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে ১ লাখ ৫৯ হাজার ১০৪ জন শিক্ষার্থী আবেদন করেছেন। গত বছর আবেদন করেছিলেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৭৯২ শিক্ষার্থী। সে হিসেবে এবার কমেছে আবেদনকারীর সংখ্যা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসন রয়েছে ৪ হাজার ৯২৬টি। তাই এক আসনের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রায় ৩২ জন শিক্ষার্থী।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) স্নাতক শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের সময় গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় শেষ হয়েছে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গত ১৫ জুন আবেদন শুরু হয়। আবেদন শেষ হওয়ার কথা ছিল ৩ জুলাই। পরে ডিন কমিটি আবেদনের সময় ৮ জুলাই পর্যন্ত পাঁচ দিন বাড়িয়ে দেয়।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এবারও চারটি ইউনিট ও দুটি উপ–ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে৷ ‘এ’ ইউনিটে আসন রয়েছে ১ হাজার ২১২টি। আবেদন করেছেন ৫৭ হাজার ৯৫১ শিক্ষার্থী। এই ইউনিটে এক আসনের বিপরীতে প্রার্থী ৪৮ জন।
‘বি’ ইউনিটের আসনসংখ্যা ১ হাজার ২২১। আবেদন করেছেন ৩৯ হাজার ৩৭৫ জন। এই ইউনিটে একটি আসনের বিপরীতে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২।
‘সি’ ইউনিটে আসন রয়েছে ৪৪১টি। আবেদন করছেন ১১ হাজার ৬৫৭ জন। এই ইউনিটে এক আসনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবেন ২৬ জন।
‘ডি’ ইউনিটের আসনসংখ্যা ১ হাজার ১৬০। আবেদন করেছেন ৪২ হাজার ৭৭৫ জন। এই ইউনিটে এক আসনের বিপরীতে প্রার্থী আছেন ৩৭ জন।
এ ছাড়া ‘বি-১’ উপ-ইউনিটে আসন রয়েছে ১২৫টি। আবেদন করছেন ৩ হাজার ৪৯৬ জন। এই উপ–ইউনিটে এক আসনের বিপরীতে প্রার্থীর সংখ্যা ২৮। ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটে আসনসংখ্যা ৩০। আবেদন করেছেন ৩ হাজার ৮৫০ জন। এই উপ–ইউনিটে এক আসনের বিপরীতে প্রার্থী ১২৮ জন।
প্রতিটি ইউনিটের পরীক্ষার ১৫ দিন আগে থেকে শিক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘণ্টা আগপর্যন্ত প্রবেশপত্র ডাউনলোড করা যাবে।
সেই হিসাবে আগামী ১ আগস্ট থেকে ‘এ’ ইউনিট, ৪ আগস্ট থেকে ‘সি’ ইউনিট, ৫ আগস্ট থেকে ‘বি’ ইউনিট, ৭ আগস্ট থেকে ‘ডি’ ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোড শুরু হবে। এ ছাড়া ৯ আগস্ট ‘বি-১’ ও ‘ডি-১’ উপ-ইউনিটের প্রবেশপত্র ডাউনলোডের প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও ভর্তি কমিটির সচিব এস এম আকবর হোছাইন বলেন, গতকাল রাতে আবেদনের সময় শেষ হয়েছে। যাঁরা আবেদন ফি জমা দেননি, তাঁরা ১৫ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত ফি জমা দিতে পারবেন।