ত্বকের সৌন্দর্য বাড়াতে প্রাকৃতিক টোনার
ডেস্ক নিউজ: ত্বক সুন্দর ও পরিষ্কার করতে টোনার ব্যবহার করা উচিত। টোনার ত্বক পরিষ্কার করে এবং ত্বকের রোমকূপের মুখগুলোকে সংকুচিত করে।
কেমিক্যালযুক্ত টোনার কিনে ব্যবহার করার থেকে ঘরে তৈরি টোনার ব্যবহার করা সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। চাইলে বাড়িতেই প্রাকৃতিক উপায়ে তৈরি করে নিতে পারেন বিভিন্ন টোনার। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রাকৃতিক টোনার তৈরি ও উপকারিতা
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার: একটি বাটিতে সম পরিমাণ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এবং পানি নিয়ে ভালোভাবে মেশান। চাইলে এতে এসেনশিয়াল অয়েলও মেশাতে পারেন। তুলা দিয়ে মিশ্রণটি মুখে, গলায় লাগিয়ে পাঁচ মিনিট রাখুন। তারপরে ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এই টোনার ত্বকে ব্রণ বা পিম্পল হতে দেয় না।
শসা ও অ্যালোভেরা : কোয়ার্টার কাপ শসার পেস্ট বা জুসে এক টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ভালো করে মেশান। তুলা দিয়ে ত্বক এবং গলায় প্রয়োগ করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই টোনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে, ত্বককে ক্ষতিকারক অতিবেগুনি রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং ত্বককে হাইড্রেট করতেও সাহায্য করে।
গ্রিন টি : এক কাপ পানিতে দুটি টি ব্যাগ দিয়ে মাঝারি আঁচে ফোটান। ১৫ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে ঠান্ডা হতে দিন। এবার একটি স্প্রে বোতলে ঢেলে প্রয়োজন অনুযায়ী ব্যবহার করুন। এই টোনার ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখে এবং অতিরিক্ত তেল অপসারণ করতে সহায়তা করে।
ডাব ও দুধ : একটি পাত্রে এক কাপ ডাবের পানি এবং আধা কাপ দুধ ঢেলে চামচ দিয়ে ভালোভাবে নাড়ুন। তারপর বোতলে ঢেলে ফ্রিজে রাখুন। তুলায় পরিমাণমতো টোনার নিয়ে ব্যবহার করুন।
টোনার ব্যবহারের সময় কিছু দিকে নজর দেওয়া জরুরি:
১.ত্বকে পানি লাগানোর পরপরই টোনার লাগাতে হবে।
২.টোনার লাগানোর জন্য তুলার প্যাড বা মিস্ট বোতল ব্যবহার করুন।
৩.টোনার লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলবেন না। পাঁচ থেকে সাত মিনিট অপেক্ষা করে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে ফেলুন। তাহলে যে উদ্দেশ্যে টোনার লাগানো, সেটা পূরণ হবে।
মআ/চখ